ভিডিও রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

 ‘আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে : প্রধানমন্ত্রী

 ‘আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে : প্রধানমন্ত্রী, ছবি সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি অনেক উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পরিসংখ্যান, উন্নয়নের সোপান’।

বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘ডেল্টাপ্ল্যান’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি অনেক উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে। আমি মনে করি, উন্নত পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি ‘সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আমাদের সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দিবস পালন এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সময়ানুগ ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকর পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বিশ্ব দরবারে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ।’

সরকারপ্রধান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ৪টি পৃথক পরিসংখ্যান সংস্থাকে একীভূত করে ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে বিবিএসসহ জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয় ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদানের জন্য ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে একটি সুসংহত আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আওয়ামী লীগ সরকার ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’ এবং পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বিত উন্নয়নের জন্য ‘জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র ২০১৩-২০২৩’ প্রণয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সক্ষমতার অন্যতম প্রকাশ হলো ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা এবং এক মাসের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ।

তিনি বলেন, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। এমডিজির লক্ষ্যসমূহ সফল বাস্তবায়নের পর এসডিজির লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালন করছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুখবর দিলেন রুনা খান

ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বে বাতিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইভেন্ট

ভারতে গ্রেপ্তার রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক 

দোহায় হামাসের কার্যালয় থাকছে : কাতার

উপদেষ্টা পরিষদে আরও পাঁচজন, সন্ধ্যায় শপথ

৭ সুইং স্টেটেই ট্রাম্পের একচেটিয়া জয়, জানা গেল পূর্ণাঙ্গ ফল